সংসদ সদস্য আমাকে মারধর করেছে: অধ্যক্ষ, এমপি বললেন ‘অডিও আসল নয়’
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা তদন্ত কমিটির কাছে স্বীকার করেছেন যে, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে সত্যিই লাঞ্ছিত করেছিলেন।
অধ্যক্ষ সেলিম যখন তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন দুজন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
তারা আরও জানান, গত শুক্রবার সকালে ৩ সদস্যের কমিটির সঙ্গে আলাপের সময় এই লাঞ্ছনার ঘটনাকে 'পরিকল্পিত' বলেও অভিহিত করেন অধ্যক্ষ সেলিম।
সেদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেনের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা রাজশাহী শহরের রায়পাড়া এলাকায় অধ্যক্ষ সেলিমের বাসায় তার সঙ্গে একান্তে এবং তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের উপস্থিতিতে উভয়ভাবেই কথা বলেন।
তবে সেসময় অধ্যক্ষ সেলিম কী বলেছেন কমিটির সদস্যরা সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানাননি।
কমিটির সদস্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য সত্য খুঁজে বের করা এবং আমরা শিগগির প্রতিবেদন জমা দেব।'
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক ৭ জুলাই থিম ওমর প্লাজায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে অধ্যক্ষ সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর পরের দিন সংসদ সদস্য একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, যেখানে অধ্যক্ষ সেলিম তার পাশে বসে বলেছিলেন যে, তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি এবং এ সংক্রান্ত সংবাদগুলো মিথ্যা ছিল।
অপরদিকে, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ গতকাল শনিবার তার নগর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অধ্যক্ষ সেলিমের সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামানের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন।
আসাদুজ্জামান সেসময় জানান, অডিও ক্লিপটি তদন্ত কমিটিকেও সরবরাহ করা হয়েছে।
ক্লিপটিতে অধ্যক্ষ সেলিমকে বলতে শোনা যায়, ৭ জুলাই সংসদ সদস্য ও কলেজ অধ্যক্ষদের মধ্যে কোনো বৈঠক হয়নি।
সেলিমের ভাষ্য, 'আমাকে সেখানে ডাকা হয়েছিল কেবল মারধর করার জন্য।'
এ বিষয়ে আখতারুজ্জামান ডেইলি স্টারকে জানান, ক্লিপটি তার ও সেলিমের মধ্যে ৯ জুলাই টেলিফোন কথোপকথনের একাংশ।
'হামলার কথা শোনার পর আমি তাকে (সেলিম) ফোন করেছিলাম', এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অধ্যক্ষ সেলিমকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ডেইলি স্টারকে জানান, ক্লিপটিতে যে কণ্ঠস্বর শোনা গেছে তা সেলিমেরই ছিল। গত ৭ জুলাই থেকে অধ্যক্ষ বাড়ি থেকে বের হননি বলেও জানান তারা।
অডিও ক্লিপে অধ্যক্ষ সেলিমকে বলতে শোনা যায়, তাকে দেখার মুহূর্ত থেকেই আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন সংসদ সদস্য।
এ ছাড়াও, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক অধ্যক্ষ সেলিমকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং উত্তরে যখন তিনি (সেলিম) বলেন যে, তিনি বুঝতে পারছেন না কী বলা হচ্ছে, তখনই ওমর ফারুক চিৎকার শুরু করেন।
'এরপর তিনি (ওমর ফারুক) তার চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে এসে আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি উচ্চস্বরে কাউকে হকিস্টিক নিয়ে আসতে বলেন এবং তারপর তিনি আমাকে ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করতে শুরু করেন।'
এরপর অধ্যক্ষ সেলিম বলেন, 'আরও বেশ কয়েকজন কলেজ অধ্যক্ষের সামনে অন্তত ১০ মিনিট ধরে আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে।'
তবে এই অডিও ক্লিপটিকে ভুয়া বলে অভিহিত করেছেন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক।
ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'এটি আসল অডিও নয়, অধ্যক্ষের গলা নকল করে বানানো হয়েছে।'
'আমি আজকেও অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে তার কলেজে গিয়েছিলাম। সেসময়ও তিনি বলেছেন যে, অডিওর কণ্ঠটি তার নয়। তাছাড়া, তিনি আগেও দাবি করেছেন যে, তাকে মারধর করা হয়নি। ফলে এই অডিও ক্লিপ দিয়ে মারধরের বিষয়টি প্রমাণের কোনো সুযোগ নেই', যোগ করেন তিনি।
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক আরও বলেন, 'একটি তৃতীয় পক্ষ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য একটি মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। এতে আমার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।'
বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৪, ২০২২
সংসদ সদস্য মারেননি, নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে: অধ্যক্ষ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা গত ৭ জুলাই সংসদ সদস্যের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনে অস্বীকার করেছেন।
রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এ সময় তার পাশে বসা ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নিউমার্কেটের কাছে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সংসদ সদস্য।
অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করার পর ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এ অভিযোগের কারণে তিনি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদেরকে তার হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিতে বলেন তিনি।
সম্মেলনে গোদাগাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, '১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে জন্য বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে।'
এক প্রশ্নে উত্তেরে তিনি বলেন, 'আমরা অধ্যক্ষরা নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম এবং আমাদের নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। আমি আসবাবপত্রের ওপর পড়ে ছোটখাটো আঘাত পেয়েছি।'
'সংসদ সদস্য আমাকে মারধর করেননি, তিনি বরং অধ্যক্ষদের ঝগড়া ধামিয়েছেন', যোগ করেন সেলিম রেজা।
মাটিকাটা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল জানান, ওইদিন তার ও সেলিম রেজার মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।
তিনি বলেন, 'আমি ঝগড়ার সময় তার একটি কথা সহ্য করতে না পেরে তাকে একপাশে ঠেলে দিয়েছিলাম। আমি এর জন্য দুঃখিত।'
তবে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা তার ক্ষত দেখাতে রাজি হননি।
সেলিম রেজাকে কয়েকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে চোখের নিচে আঘাত পেলেন। তারা তাকে হাত দেখাতে বললে তিনি টেবিল থেকে হাত সরিয়ে নেন।
'আমি ধাক্কাধাক্কির সময় দুর্ঘটনাক্রমে ছোটখাটো আঘাত পেয়েছি', বলেন তিনি।
সাংবাদিকরা অধ্যক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে চাইলে সংসদ সদস্য ও তার লোকজন তাকে কথা বলতে দিতে অস্বীকৃতি জানান।
সংসদ সদস্য বলেন, 'তিনি ট্রমায় আছেন। একা কথা বলতে পারবেন না।'
এরপর সংসদ সদস্য নিজের লোকজনকে বলেন, অধ্যক্ষকে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যেতে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজার এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কথা শুনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, অধ্যক্ষ তাকে মারধরের বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
'অধ্যক্ষ নিজেই আমাকে বলেছিলেন, তাকে সংসদ সদস্য মারধর করেছেন। এখন যখন তিনি হামলার কথা অস্বীকার করছেন, তখন এটা স্পষ্ট যে আরও অপমানের ভয়ে তিনি এটা করছেন', তিনি বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাদশা আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষের বক্তব্যে তিনি অবাক হয়েছেন।
'কলেজের অধ্যক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তার বক্তব্য সংসদ সদস্যের পক্ষে ছিল। একটি রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল নিয়ে তিনি কীভাবে উদ্বিগ্ন? তার পাঠ করা বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, সংসদ সদস্য তাকে এটি লিখতে বাধ্য করেছেন', মন্তব্য করেন তিনি।
গত ৭ জুলাই ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী নিউমার্কেটের কাছে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সেলিম রেজাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যক্ষকে ‘মারধরের’ অভিযোগ, সংসদ সদস্যের অস্বীকার
রাজশাহীর রাজশাহী-১ আসনের (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে তার কার্যালয়ে কলেজের এক অধ্যক্ষকে 'মারধরের' অভিযোগ উঠেছে।
তবে সংসদ সদস্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলার সময় ওমর ফারুক চৌধুরী দাবি করেন, কলেজের কয়েকজন অধ্যক্ষ গত ৭ জুলাই তার চেম্বারে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন অধ্যক্ষদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ওই সময় তিনিই তাদের থামান।
তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তিনি গত সোমবার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের আহত অধ্যক্ষ সেলিম রেজার বাড়িতে তাকে দেখতে যান এবং তখন তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।
সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন দলের সুনাম নষ্ট করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ দিকে, অভিযোগ তদন্তে গতকাল কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ৩ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে।
কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে অবগত কয়েকজন ব্যক্তি ডেইলি স্টারকে বলেছেন, সেদিন অন্তত ৭ কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা সংসদ সদস্যের সঙ্গে থিম ওমর প্লাজায় তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত একটি বিষয়ে করা প্রশ্নে সেলিম রেজার উত্তর পছন্দ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে খালি হাতে ও পরে লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করেন সংসদ সদস্য। পরে কক্ষে উপস্থিত অন্যরা সেলিম রেজাকে বাইরে নিয়ে যান।
সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা সংসদ সদস্যের লোকজনের ভয়ে মুখ বন্ধ রাখেন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ সাঈদ আহমেদ ওইদিন সেলিম রেজার চিকিৎসা করেন। তার চেম্বার রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায়।
সাঈদ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অধ্যক্ষের আঘাত গুরুতর।
একই গ্রামের হওয়ায় সেলিম রেজাকে চেনেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল একটি জাতীয় পত্রিকায় নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সেলিম রেজা ফেসবুকে লিখেন, এমপি তাকে মারধর করেননি। আসলে ওইদিন সংসদ সদস্যের সঙ্গে দেখা করা শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কর্মকাণ্ড ও মন্তব্য এর আগেও একাধিকবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তার লোকজন একটি গ্রামের ২টি প্রবেশপথে অবস্থান নেয় এবং গ্রামের মধ্য দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বাধা দিতে শুরু করে। কারণ, স্থানীয়দের অনেকেই ওমর ফারুক চৌধুরীকে ভোট দেননি।
একই বছরের ১৯ আগস্ট ওমর ফারুক চৌধুরীর সামনে একটি কলেজের অধ্যক্ষকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা লাঞ্ছিত করে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য গতকাল ডেইলি স্টারের অনুরোধে সাড়া দেননি অধ্যক্ষ সেলিম রেজা।
এর আগে তার সঙ্গে দেখা করা এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, অধ্যক্ষের চোখ কালো হয়ে গেছে এবং তার ডান হাত, পেট ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে।
ওইদিন এমপির কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা গোদাগাড়ী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ইমরুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, একটি বিষয় নিয়ে সংসদ সদস্য অধ্যক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
'কিন্তু, মারধরের মতো খারাপ কিছু ঘটেনি,' যোগ করেন তিনি।
ওমর ফারুক চৌধুরী গতকাল বলেন, কিছু মানুষ 'অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের' কারণে তার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
গতকাল রাতে এমপি জানিয়েছেন, তিনি আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে অধ্যক্ষ সেলিম রেজার উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা আছে।
Comments
Post a Comment