কোরআনে হাত রেখে আ.লীগ নেতাদের পক্ষে থাকার শপথ করালেন সংসদ সদস্য
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আগামী নির্বাচনে তার পক্ষে থাকার জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের কোরআনে হাত রেখে শপথ করিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেছেন, তাদেরকে জোর করে কোরআনে হাত রেখে শপথ করানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথগ্রহণের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান শপথগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারের কাছে শপথ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে জোর করে শপথ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, 'আমি তাদের জোর করিনি, তারা স্বেচ্ছায় শপথ করেছেন। নেতাদের মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনা ঘটেছিল। এ কারণে তারা পবিত্র কোরআনে হাত রেখে শপথ নেন। এখানে আমি নেতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'অতীতে কয়েকজন নেতা সংসদ সদস্যের বিরোধিতা করেছেন। একই নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহ প্রকাশকারী নেতাদের আয়োজিত সভায় অংশ নিয়েছেন তারা।'
'অন্যদের অনুসরণ করে আমিও শপথ নিয়েছি', যোগ করেন তিনি।
দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, 'সংসদ সদস্য ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় স্বেচ্ছায় শপথ নিয়েছি।'
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সংগৃহীত ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের অন্তত ১১ জন নেতা কোরআনে হাত রেখে শপথ নিচ্ছেন।
নেতারা যখন শপথগ্রহণ করছিলেন, তখন প্রায়ই সংসদ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, 'ভবিষ্যতে নৌকা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।'
এর আগে গত বছর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার কার্যালয়ে স্থানীয় একটি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেছেন, তাদেরকে জোর করে কোরআনে হাত রেখে শপথ করানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথগ্রহণের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান শপথগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারের কাছে শপথ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে জোর করে শপথ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, 'আমি তাদের জোর করিনি, তারা স্বেচ্ছায় শপথ করেছেন। নেতাদের মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনা ঘটেছিল। এ কারণে তারা পবিত্র কোরআনে হাত রেখে শপথ নেন। এখানে আমি নেতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'অতীতে কয়েকজন নেতা সংসদ সদস্যের বিরোধিতা করেছেন। একই নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহ প্রকাশকারী নেতাদের আয়োজিত সভায় অংশ নিয়েছেন তারা।'
'অন্যদের অনুসরণ করে আমিও শপথ নিয়েছি', যোগ করেন তিনি।
দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, 'সংসদ সদস্য ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় স্বেচ্ছায় শপথ নিয়েছি।'
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সংগৃহীত ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের অন্তত ১১ জন নেতা কোরআনে হাত রেখে শপথ নিচ্ছেন।
নেতারা যখন শপথগ্রহণ করছিলেন, তখন প্রায়ই সংসদ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, 'ভবিষ্যতে নৌকা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।'
এর আগে গত বছর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার কার্যালয়ে স্থানীয় একটি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
Comments
Post a Comment