Posts

Showing posts from 2025

নিঃশব্দের নক্ষত্র মনোরঞ্জন নন্দী

Image
                                মনোরঞ্জন নন্দী সারা জীবন নিজেকে 'মূর্খ-সুর্খ মানুষ' বলে হালকা করে দেখিয়েছেন, অথচ বিরল বিনয়ের শক্তিতে তিনি ছিলেন রাজশাহীর সাহিত্য-সংস্কৃতির আকাশে এক অবিচ্ছিন্ন আলোকস্তম্ভ। শিক্ষার মূল্য সনদে মাপা যায় না, বরং মাপা যায় ভালোবাসায়, কৌতূহলে, আর মানুষের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতায়। মনোরঞ্জন নন্দী, আমাদের সবার নন্দীদা, ছিলেন এই সত্যের জীবন্ত প্রমাণ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গণ্ডি তিনি উচ্চমাধ্যমিকের পর আর পেরোতে পারেননি, কিন্তু তাঁর অদম্য সাধনা তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও কবি অনিক মাহমুদের মতো মানুষের সান্নিধ্য। নন্দীদা নিজেও এ নিয়ে গর্ব করতেন, আর সেটি ছিল তাঁর স্বভাবসুলভ বিনয়ের ভেতর একেবারেই ন্যায্য গর্ব। শৈশব থেকেই তাঁর জীবনের সংগ্রামের শুরু। পারিবারিক আর্থিক সংকট তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল স্কুলের গণ্ডির বাইরে। তবু তিনি থামেননি। হাতে পাওয়া যে কোনো ছাপা কাগজ মন দিয়ে পড়তেন। এই অদম্য পাঠপিপাসাই তাঁকে গড়ে তুলেছিল জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে। ছোটবেলায় সঙ্গের প্রভা...

বৃষ্টিতে বোরো ধান নষ্ট: প্রযুক্তি যুগের নিষ্ঠুর বিস্ময়

Image
  ২০২৫ সালে দুই সপ্তাহের প্রলম্বিত বৃষ্টির আগাম খবর কৃষকের কাছে ছিল না। এটা প্রযুক্তি যুগের একটা নিষ্ঠুর বিস্ময়। নয় কি? আমনের পর এবার ঈদের আগে অনেক বোরো ধান নষ্ট হলো। জমিতে পাকা ধান থেকে গজিয়ে উঠেছে চারা। তবু দমবার নয় কৃষক। বুকে কান্না চেপে ধার দেনায় ঈদ পাড়ি দিতে হবে তাদেরকে। বর্গাচাষীদের অবস্থা কল্পনায় আনতে পারেন? কৃষকদের কথা, কারো দায় নেই, এটা প্রকৃতির দূর্যোগ। তারা কি এটা জানে, তাদের কাছে সময়মত দূর্যোগের খবর পৌঁছে দেয়ার দায় কারোর না কারোর ছিল? রাজপথের উদ্বেগ কৃষকদেরও ছুঁয়ে যায় হয়ত, কিন্তু কৃষি মাঠের বিপর্যয় আমরা কতক্ষণ সহ্য করতে পারবো?  ঈদের আগে বানানোর কোন ইচ্ছাই ছিল না। কিন্তু কৃষককে কান্না চাপা দিতে দেখে অন্য কোনখানে মন ঘুরাতে পারা গেল না। একটু খেয়াল করলে আপনিও সেটা দেখতে পারবেন।

শূন্য নদী, শুকনা বিল — তবু বিলজোয়ানা অভয়ারণ্য!

Image
রাজশাহীর বরেন্দ্র (Barind) অঞ্চলের একসময়ের প্রাণবন্ত শিব নদী (Shib River) আর বিলজোয়ানা বিল (Biljowana Wetland)। এখন সেখানে পানি নেই, মাঠ ফাটছে, নেই মাছ কিংবা পাখি। জেলেরা ছুটছে শহরে জীবিকার খোঁজে। এই পরিস্থিতিতে এলাকাটি হয়েছে 'Biljowana Wetland Wildlife Sanctuary'। সরকার জলজ প্রানীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করলেও, স্থানীয়রা ভুগছে অনিশ্চয়তায়। এই ভিডিওতে দেখুন বাস্তব চিত্র — কী হারিয়েছে বিল, কী আশা জাগছে নুতন ঘোষণায়। যেখানে নদী শুকিয়ে গেছে, বিলে মাছ নেই, সেখানে অভয়ারণ্য কেমন করে কি করবে? এই ভিডিওতে দেখবেন বাস্তবের গল্প - কেমন করে Barind region environment বদলে গেছে, Fish crisis in Bangladesh কীভাবে প্রভাব ফেলছে, Climate change Barind অঞ্চলে কী ধরণের প্রভাব ফেলছে, এবং Dry wetland documentary হিসেবে বিলজোয়ানার তথা রাজশাহীর বরেন্দ্র প্রকৃতি ও স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের চিত্র। আরো থাকছে, জেলেদের জীবিকা সংকট, ও River crisis in Bangladesh. শূন্য নদী, শুকনা বিল — তবু বিলজোয়ানা অভয়ারণ্য! -- এটা শুধু একটি ভ্রমণ ভিডিও নয়, বরং একেবারে মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা তুলে ধরা একটি nature documentary vlog ...

শস্য বৈচিত্রে বিভ্রান্ত ঝড় - 🌾একই ধানক্ষেতে ভিন্ন পরিণতি🌾

Image
  🌾 শুক্রবার (১৬/০৫/২০২৫) রাতের ঝড় একই এলাকায় একাধিক ধানক্ষেতের উপর সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রভাব ফেলেছে। কিছু ক্ষেত সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত, আবার কিছু একেবারে অক্ষত। আমার কাছে মনে হয়েছে শস্য বৈচিত্রে বিভ্রান্ত ঝড় 😁 একই ধানের মাঠে ভিন্ন পরিণতি দেখা গেছে। কেন এই পার্থক্য?  👉 এই ভিডিওতে: আমরা দেখব  🌾 ঝড়ে ধানক্ষেতের সরাসরি ক্ষয়ক্ষতি  🌾 শস্য বৈচিত্র্যের কারণে কিছু ক্ষেত কিভাবে রক্ষা পেল  🌾 কৃষকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা  শস্য বৈচিত্র্য, ঝড়ের ক্ষতি, ধানক্ষেত, বাংলাদেশ কৃষি, Storm Damage, Crop Diversity, Paddy Fields, Farmers' story  

বাংলাদেশের আম রপ্তানিতে এবার চীন

Image
  প্রতি বছর সর্বোচ্চ বাংলাদেশের আম রপ্তানি হয় যুক্তরাজ্যে। বাংলাদেশী তথা রাজশাহীর আমের বড় বাজার রয়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে। চীনে আম রপ্তানির নুতন সুযোগ তৈরী হবার কারনে প্রশ্ন উঠেছে, চীন কি বাংলাদেশের আম রপ্তানিতে যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যাবে? এই ভিডিও সেই সম্ভাবনা খুঁজে দেখা হয়েছে।

পতিসরের বাবুমশাইয়ের প্রেমে

Image
পতিসরের মানুষের প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম আজও যে কত কত রুপে ফুটে ওঠে তার একটি ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে এই ভিডিও - পতিসরের বাবুমশাইয়ের প্রেমে।

বোরো ধান চাষীরা যেসব সংগ্রামের মুখোমুখি

Image
বোরো ধান চাষের সংকট প্রায় চিরায়ত। বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে নানা কারণে কৃষকদের ভোগান্তির মাত্রা আরো বেশি। সংকট মোকাবেলা করতে চাষের খরচ বৃদ্ধি পায়। এই ভিডিওতে কৃষকরা বলেছেন তারা যেসব সংগ্রামের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং কিভাবে বোরো ধান চাষের সংকট মোকাবেলা করছেন।

আলু চাষীদের সাক্ষাতকার

Image
  আলু চাষীরা বর্ণনা করেছেন কিভাবে তারা ফলন ও মূল্য বিপর্যয়ের ভোগান্তিতে পরেছেন। আমাদের কৃষির অনেক সমস্যা ও সম্ভাবনা উঠে এসেছে তাদের কথায়। ভিডিও প্লেলিস্টের লিংক https://www.youtube.com/playlist?list=PLf8Its2F_TVe1653a38SY4BEOv8LRKIwc

আলু চাষে বিপর্যয় যে কারণে | বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকের হাহাকার

Image
  আম, পান ও ধানের সাথে বরেন্দ্র অঞ্চলে আলু এখন অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। গত বছরে লাভবান হয়ে বিপুল সংখ্যক কৃষক এ বছর আলু চাষ করেছিলেন। অনেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু কৃষকরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীরা এবার আলু চাষে ও বাজার মূল্যে বিপর্যয়ের কবলে পড়েছেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শীতের তীব্রতা কম থাকায় আলুর ফলনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের ভাড়া বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের কারণে আলু চাষীদের অনেকে আলু সংরক্ষণ করতে ব্য়র্থ হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে মাঠে আলু নষ্ট হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে হাহাকার পড়ে গেছে।

স্লোগানের কন্ঠ

Image
 (প্রতীকী চিত্রটি এআই অংকিত, নিচের লিখা নয় 😁) ধীর পায়ে হেঁটে চলেছে স্লোগান। ক্লান্ত, কণ্ঠ খুঁজছে সে।   স্লোগানের পায়ের শব্দে ঘুম ভাঙে চেয়ারের। মধ্যরাত, না ভোররাত বোঝে না। নাপিতের দোকানের সিংহাসনী চেয়ার। নাপিত লাপাত্তা, ক’দিন দোকান খোলে না, চেয়ারের ঘুম সহসা ভাঙে না। এর মধ্যেই স্লোগানের আবির্ভাব।   ‘ …কোথায় আমার সেই দরাজ কন্ঠ?’ চেয়ার বলে, 'কে যায়?' স্লোগান উত্তর দেয়, 'বুঝেই তো ডাকছো, তাইনা?' হুম, তোকে স্বরে চেনা যায়। কোথায় যাস? যা বলার বলে ফেলো।   চেয়ার কটাক্ষ করে প্রশ্ন করে, 'খুব তো কদিন কণ্ঠে কণ্ঠে ফুটে বেড়াচ্ছিলি। এখন কি?' স্লোগান অবাক হয়ে বলে, 'এখন কি মানে? এখনো কি আমার পায়ের শব্দে তোমার বুক দুরু দুরু করছে না!' চেয়ারঃ কি অলক্ষুণে সব কথা বলিস! কাছে আয়! তোর মুখে কি শ্রুতিমধুর কিছু নেই? স্লোগানঃ আমি তো সুরে বাঁধা। শ্রমে ঘামে ব্যাথায় বঞ্চনায় হৃদয় নিংড়ে বের হই। হাজার কন্ঠে সাজি। তোমার কানে এত ঠেকে কেনো? চেয়ারঃ বইতে পারি নারে। ভারী লাগে, গলা চেপে আসে, পা কাঁপতে থাকে, প্রাণ বের হয়ে যাবে মনে হয়। স্লোগানঃ চিকিৎসা কর।   চেয়ারঃ লাভ নেই। ওই ইন্টারনেট আছে না! ওট...

বনভূমি না শহর জীবন কোনটি ভাল?

Image
  নির্মল চরের বনভূমি শহর থেকে দূরে নয়। একবেলা দুইবেলার জন্য প্রেমতলীর নির্মল চরে গেলে সেখানকার শান্ত পরিবেশ আপনাকে আকর্ষণ করবেই। কিন্তু সেখানে বসবাস কতটুকু সম্ভব? রাজশাহী পদ্মাপাড়ে জেগে আছে অসংখ্য চর। সেখানে জীবনও চলে। কতটা সহজ চরে গড়ে তোলা বনভূমির জীবন? দেখুন ভিডিওতে।

সেরা ক্রিকেটারদের নুতন পছন্দের ব্যাট

Image
সেরা ক্রিকেট ব্যাটই শুধু নয়, এই গল্প এক স্বপ্নের জয়গাঁথাঃ রাজশাহীর এক প্রত্যন্ত এলাকায় বেড়ে ওঠা শাহিন কিভাবে ক্রিকেট ব্যাটের ডাক্তার থেকে ব্যাট নির্মাতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুললেন। আরো জানবেন, কিভাবে তিনি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন, কিভাবে তাঁর তৈরি ব্যাট এখন বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের নুতন পছন্দে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশী প্রকৌশলী আমেরিকায় যেভাবে অসামান্য উচ্চতায় পৌঁছালেন

Image
  এক দশক ধরে বাংলাদেশি প্রকৌশলী মুক্তি রানার উদ্ভাবিত #প্রযুক্তি ব্যবহার করে #মহাকাশে প্রানের সন্ধান করছে #নাসা। যেভাবে আমেরিকায় গিয়ে অসামান্য উচ্চতায় পৌঁছালেন, এক সাক্ষাতকারে তিনি তার বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। তার প্রযুক্তিতে ২০২৬ সালে মহাকাশে ড্রাগনফ্লাই অভিযান করছে নাসা। সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশের গবেষণা পরিস্থিতি, কার্যকর গবেষণা ও নুতন গবেষকদের করনীয়।

মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাধ ও অস্বাভাবিক একটি তুলনা

Image
আগামী বছরেই পশ্চিমে নাসা ড্রাগনফ্লাই ছোটাচ্ছে শনির গ্রহের চাঁদে। মংগলগ্রহের পর সেটা হতে পারে মানুষের নুতন আবাস (মংগলগ্রহ নিয়ে ইলন মাস্কের ঘোষণার প্রেক্ষিতে লিখলাম)।  আর দক্ষিণ পূর্বে আমাদের ডিজিটাল সচ্ছলতা এখনও দূরের তারা। স্বাধীনতা, রাজনীতি, ব্যবসা, ও ধর্মের প্রশ্নগুলোতে আমরা আটকে আছি প্রায় শতাব্দী জুড়ে।  এক গোলার্ধ ভূস্বর্গ! সেখানে চাইলেই যে কেউ মেধা শানিত করতে পারে, মানবতার সেবায় অবদান রাখতে পারে। অন্য গোলার্ধে মেধা বিকাশ দূরে থাক, অশান্তি, অনগ্রসরতা, নিরাপত্তাহীনতা এড়াতে সবার লক্ষ্য।  এক ভূখন্ডের নখদর্পনে গোটা বিশ্ব, আরো কয়েক শতকে কি ঘটবে তাও তাদের চিন্তার বাহিরে নেই। এখন তারা মহাকাশ জয় করে চলেছে। আমাদের শিক্ষা, বাসস্থান, সুস্বাস্থ্য, কথা বলা, এমনকি স্বাধীন চিন্তা করার শক্তি ব্যাক্তি পর্যায়ে অনুপস্থিত।  যারা ভিন্নমত সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের কাছে ভিন্নমত সহনীয় থাকে না। বৈষম্য বিরাগেও সাম্য ধরে রাখা সাধ্যে কুলায় না। যারা গণতন্ত্রের তুবরি ছোটায়, তারা নিজের পরিবারে, প্রতিষ্ঠানে, সমাজে আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করে রাখে।  স্বাভাবিকতার অভাবে মহান আন্দোল...

বাংলাদেশির প্রযুক্তিতে মহাকাশে অভিযান করছে নাসা

Image
আগামী বছরেই নাসা ড্রাগনফ্লাই ছোটাচ্ছে শনির গ্রহের চাঁদে। ড্রাগনফ্লাই একটা রোবটিক রোটরক্র্যাফট। ২০২৬ সালে সে শনি গ্রহে যাত্রা শুরু করবে। আট বছর পর শনির চাঁদ টাইটানে ল্যান্ড করে ড্রাগনফ্লাই প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজে বেড়াবে। ড্রাগনফ্লাই যেসব চোখ দিয়ে দেখবে, তাতে থাকবে বিশেষ ধরণের এক প্রলেপ। এই প্রলেপ মহাকাশের নানান প্রভাবের মধ্যেও ড্রাগনফ্লাইকে পরিষ্কার দেখতে সাহায্য করবে। এই প্রলেপ বা কোটিং তৈরি করছেন যে বিজ্ঞানীদের দল তাদের নেতৃত্ব আছেন একজন বাংলাদেশী প্রকৌশলী। আশির দশকের বাংলাদেশের কাঁচা রাস্তায় তিনি খালি পায়ে স্কুলে গেছেন, হারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করেছেন। পরে আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে মেধার বিকাশ ঘটিয়েছেন। আমেরিকা তার সম্ভাবনা টের পেয়ে কোন জাতপাত দেখেনি, তার মতাদর্শেরও তোয়াক্কা করেনি, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার লুটিয়ে দিয়েছে এই বাঙালি মেধার পায়। আর তিনি শুধু ড্রাগনফ্লাইয়ের প্রলেপ নয়, গত এক যুগ ধরে তার কর্ম মানবতার জন্য একের পর এক অবদান রেখে চলেছে। পৃথিবী ছেড়ে মহাশুন্যে পৌঁছেছে তার কীর্তি।  লিংকে ভিডিও https://youtu.be/R0iRlDpRvkM

🌳গাছেদের বিস্ময়কর প্রাকৃতিক ফিউশন🌴

Image
এআই ফিউশন (AI Fusion) এখন ভাইরাল বিষয়। তবে, গাছেদের মধ্যে প্রাকৃতিক ফিউশন চোখের সামনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। সেটা কি কম বিস্ময়কর? গাছে গাছে 🌳 বন্ধন, এক গাছের ওপর আরেক গাছ বড় হওয়া প্রকৃতির বিস্ময়কর জাদু। গাছেদের এই সম্পর্ককে আপনি বলতে পারেন গাছ গাছকে গ্রাস করছে, আবার এক গাছ আরেক গাছে বিলীন হচ্ছে বলতে পারেন। আপনি কোনটি বলবেন?  রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে বাবলা গাছকে বিলীন করে বেড়ে উঠছে পাইকড় গাছ।  ওপরের ছবি চারটিতে দেখা যাচ্ছে একটি পাইকড় গাছের বুক চিরে বেড়িয়েছে একটা খেজুর গাছ। আদতে পাইকড় গাছটি খেজুর গাছকে গ্রাস করে বেড়ে উঠেছে। এখানে বলতে পারেন গ্রাস করেনি, খেজুর গাছই পাকুড় গাছে বিলীন হয়েছে। কে জানে? ঘটনাটা রাজশাহীর তানোর উপজেলার।   এই ছবিতে  তিনটা বট গাছ ও দুইটা বট গাছ এক হয়ে আছে। ছবিটা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রাম থেকে তোলা।  এই ঘটনাগুলোর পিছনে যাই থাক এগুলো বর্তমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজির চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং বিস্ময়কর। 

হালের গরুর হাল হকিকত

Image
জমিতে মই দেয়ার জন্যেই শুধুমাত্র হালের গরুর ব্যবহার টিকে আছে। আধুনিক কৃষিযন্ত্র থাকার পরেও কৃষক কেন হালের গরু দিয়ে জমিতে মই দিতে আগ্রহী, হালের গরু পালনে কেন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক, প্রাচীন এই কৃষি ঐতিহ্য বিলুপ্ত হলে কি হবে, এবং এই পরিস্থিতিতে যা যা করা দরকার তা নিয়ে আয়োজন হালের গরুর হাল হকিকত ভিডিওর। 

সবচেয়ে বড় সরিষা ফুলের রাজ্যে কৃষকের হাসি

Image
রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলের কৃষকরা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সরিষা চাষ করে থাকেন। সর্ষে চাষে কম খরচের কারণে বর্গা চাষীরাই বেশী আগ্রহী হন। বিলগুলোতে সরিষা চাষ পদ্ধতিও সহজ। ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে সরিষা গাছে ফুল ফুটলে হলুদ রঙে রাঙানো সর্ষে জমিগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে। গত বছর আড়াই মাসের আবাদ শেষে সরিষার জমিতে রোগ ছড়িয়ে পড়লে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এবছর তারা আশা দেখছেন। জমিতে তাজা ফুলগুলো দুলতে দেখে কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি। তারপরও তাদের হাসিতে সতর্কতাও আছে।