গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে মৌসুম শুরু
গাছ থেকে আগাম গুটি জাতের আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আজ বুধবার থেকে রাজশাহীতে আমের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
বাজারজাতকরণ এখনো শুরু না হলেও গত বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন গুটি জাতের আম প্রায় তিন গুণ দাম চাইছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলেন, দীর্ঘ শীতকাল, মুকুল আসার সময় বৃষ্টি, দীর্ঘ সময় ধরে তাপদাহ এবং গ্রীষ্মে বৃষ্টির অভাবে ফলন ৩০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে আমের ফলন গত বছরের মতো হবে বলেই আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত বছর আমের ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ১৩ দশমিক ২৮ টন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, গাছে ফল কম ধরায় এ বছর আমের আকার বড় হবে।
টক জাতের গুটি আম প্রতি মণ ১৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার আশা করছেন চাষিরা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৫০০ টাকায়।
অন্যদিকে প্রতি মণ মিষ্টি গুটি আম দুই হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ার আশা করা হচ্ছে। যা আগের বছর ছিল মণপ্রতি ৭০০ টাকা।
২৫ মে বাজারে আসবে গোপালভোগ। গত বছর প্রতি মণ গোপালভোগ ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, তবে এবার দাম দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তবে বানেশ্বরে জেলার সবচেয়ে বড় আমের বাজার বুধবার সকালে ফাঁকা ছিল।
কয়েকজন চাষি জানান, বিকেলে তারা তাদের কিছু আম বাজারে নিয়ে যাবেন।
আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, আমের বাজার শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে কারণ অধিকাংশ গুটি জাতের আম এখনও পাকেনি।
রাজশাহীর আম চাষি আনোয়ারুল হক সকালে জিন্নানগর এলাকায় বাগান থেকে প্রায় ১০ মণ গুটি আম পেরেছেন।
'আমার দশটি গুটি আম গাছ আছে। এর মধ্যে এ বছর ফল দিয়েছে মাত্র তিনটি।'
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তিনি দুধসর নামে একটি গুটি জাতের আম পারবেন। এর দাম পড়বে প্রতি মণ দুই হাজার টাকা।
বানেশ্বরের আম চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, 'এ বছর বাজারজাত করার জন্য আমার কাছে কোনো গুটি আম নেই।'
বাড়িতে আচার তৈরির জন্য কিছু আম রেখেছি, তিনি বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, এ বছর জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমি থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন আম উৎপাদন হবে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, 'আমে অবৈধভাবে রাসায়নিক স্প্রে করা ঠেকাতে বাগান ও বাজার তদারকির জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'
বাড়িতে আচার তৈরির জন্য কিছু আম রেখেছি, তিনি বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, এ বছর জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমি থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন আম উৎপাদন হবে।
Comments
Post a Comment