Posts

Showing posts from 2021

যে কারণে রাজশাহীতে মুরাদ-নাহিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ

Image
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রোববার বিএনপির বগুড়া জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম সাইফুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান মামলাটি খারিজ করার আগে মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের ৩টি পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর ইসমত আরা। তিনি বলেন, 'এই সিদ্ধান্তে আসার আগে বিচারক আবেদনকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন, একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছেন, আদালতে দেওয়া মামলার অন্যান্য নথি এবং আইনজীবীদের কথা শুনেছেন।' পাবলিক প্রসিকিউটর দ্য ডেইলি স্টারকে ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ইসমত আরা বলেন, প্রথমত বিচারক দেখেছেন যে মামলার আবেদনকারীর কোনো 'লোকাস স্ট্যান্ডি' নেই। যার অর্থ এই মামলা দায়ের করার কোনও অধিকার বা ক্ষমতা তার নেই। আবেদনকারী সাইফুল ইসলাম তার রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে মামলাটি দায়ের করেন। তবে ভিডিও ক্লিপে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মন্তব্য

ঋণের বোঝা বাড়ছে রাজশাহীর জেলেদের

Image
রাজশাহীর সাতবাড়িয়া ঘাটে জাল প্রস্তুত করছেন জেলেরা।  ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে রাজশাহী বিভাগের নদ-নদীতে মাছ ধরার ব্যয় বেড়ে গেছে। এই অঞ্চলের জেলেদের দৈনিক আয় কমপক্ষে ৭৫ টাকা কমেছে। অফ-পিক মৌসুমে মাছও তেমন মিলছে না। ফলে ডিজেল কেনার টাকা শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জেলেরা জানান, নদীতে মাছ ধরার নৌকা চালাতে দিনে গড়ে ৫ লিটার ডিজেল লাগে। ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায় ৫ লিটারের জন্য অতিরিক্ত ৭৫ টাকা ব্যয় হচ্ছে তাদের, কমে যাচ্ছে আয়। ফলে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলেদের বেশিরভাগই মহামারির দুর্দশা থেকে এখনও বের হতে পারেননি। এর মধ্যে আয় কমায় ঋণে জর্জরিত জেলেরা। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় প্রায় ১ দশমিক ৪০ লাখ জেলে আছেন। তাদের ৭০ শতাংশই ৩৩টি নদী থেকে মাছ ধরেন, যা বছরে বিভাগে ধরা মোট মাছের ৫ লাখ টন ২০ শতাংশ। এই বিভাগে আরও ১ দশমিক ৪০ লাখ মাছ চাষী আছেন, যারা বছরে ধরা মোট মাছের ৭০ শতাংশ পুকুর থেকে এবং বাকি ১০ শতাংশ বিল ও অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। বিভাগ থেকে প্রতি বছর ৫৫ হাজার টনের বেশি উদ্বৃত্ত মাছ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে পা

যে কারণে হত্যা করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবি মীর আব্দুল কাইয়ূমকে

Image
রাত তখন ৮টা। একাত্তরের শেষ দিকে শীতের রাতে ভয়াবহ নীরবতা ভেদ করে রাজশাহীর ঘোড়ামারা এলাকার এফ-১২৩৭ নম্বর বাড়ির দরজায় হঠাৎ কড়া নড়ে উঠলো। এ ধরনের কড়া নড়ার শব্দ যেন না শুনতে হয় তার জন্যই মীর আব্দুল কাইয়ূম স্ত্রী পরিবারসহ নিজ বাড়ি ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু শব্দটা এড়াতে পারেননি। দরজার পিছনে একজন পরিষ্কার বাংলায় জিজ্ঞাসা করলেন, 'স্যার, আপনি কি বাইরে আসবেন?' তার নরম কণ্ঠে বিনয় থাকলেও সে সময়ে শিরদাঁড়ায় কাঁপন ধরিয়ে দিতে যথেষ্ট ছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক মীর আব্দুল কাইয়ূম ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ছিলেন। তার ৭ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মাসতুরা খানম, যিনি একই বিভাগের শিক্ষক ছিলেন, তাকে ওই ডাকে সাড়া দিতে না করেন। কিন্তু কাইয়ূম ভীতিকর ওই ডাকে সাড়া দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখেননি। তিনি তার পরিচয়পত্রটি হাতে নিয়ে দরজা খুলে দেন। দেখতে পান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের অবাঙালি স্টেনোগ্রাফার তৈয়ব আলী দরজায় দাড়িয়ে আছেন। তৈয়ব পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। 'স্যার, একজন সেনা ক্যাপ্টেন আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি গলির

‘নিজস্ব সাহিত্য শৈলী হাসান আজিজুল হককে চিরঞ্জীব করে রাখবে’

Image
লেখকরা প্রায়শই তাদের ভিন্ন ভিন্ন সাহিত্য শৈলী উদ্ভাবনের ক্ষমতা থেকে আবির্ভূত হন এবং কঠিন বাস্তবতাগুলোকে সহজে হৃদয়ঙ্গম করার ক্ষমতার জন্য তারা চিরঞ্জীব হন। যেমন কলম্বিয়ান ঔপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের নিজস্ব অনন্য শৈলী ছিল। বাংলা সাহিত্যে হাসান আজিজুল হকও তেমনই ছিলেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আকরাম খানের ভাষ্যে এসব কথা উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হাসান আজিজুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আকরাম খান হাসান আজিজুল হকের দুটি ছোট গল্প— দেশভাগ নিয়ে 'খাঁচা' ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প 'বিধবাদের কথা' চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন। দেশভাগ নিয়ে হাসান আজিজুল হকের আরেকটি গল্প 'উত্তর বসন্তে'র ওপর ভিত্তি করে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। আকরাম খান বলেন, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হকের পরিমিতিবোধ, তার ধ্বনিতত্ত্বের ব্যবহার এবং সমাজের বিশাল বিশাল ক্ষতগুলোকে সহজ ভাষায় পাঠকের কাছে উপস্থাপনের ক্ষমতা তাকে তার জায়গা আলাদা করে দিয়েছে। তিনি বলেন, চল্লিশের দশকের শেষের দিকে দেশভা

কৃষকের দুঃস্বপ্নের নাম ডিজেল

Image
ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে রাজশাহী অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন খরচ অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য কৃষক ও কৃষিবিদদের। তারা বলেছেন , জমি চাষ , ফসল কাটা , পরিবহন , ধান মাড়াই , ঝাড়াই ও সেচের জন্যে ডিজেলচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ডিজেলের বর্ধিত দাম ও বর্ধিত দামে জমিতে ডিজেল পরিবহনের জন্যেও খরচ বেড়েছে। এতে করে , কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পেলে তাদের বাড়তি ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন , ' ন্যায্য দাম না পেলে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বেন। আর ফসলের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে দাম কমে গেলে কৃষকের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। তখন ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। ' তিনি বলেন , ' মহামারি চলাকালে কৃষি ও কৃষক দেশের জন্যে গর্বের জায়গা ছিল। কিন্তু , ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কৃষি খ