Posts

Showing posts from December, 2021

যে কারণে রাজশাহীতে মুরাদ-নাহিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ

Image
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রোববার বিএনপির বগুড়া জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম সাইফুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান মামলাটি খারিজ করার আগে মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের ৩টি পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর ইসমত আরা। তিনি বলেন, 'এই সিদ্ধান্তে আসার আগে বিচারক আবেদনকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন, একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছেন, আদালতে দেওয়া মামলার অন্যান্য নথি এবং আইনজীবীদের কথা শুনেছেন।' পাবলিক প্রসিকিউটর দ্য ডেইলি স্টারকে ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ইসমত আরা বলেন, প্রথমত বিচারক দেখেছেন যে মামলার আবেদনকারীর কোনো 'লোকাস স্ট্যান্ডি' নেই। যার অর্থ এই মামলা দায়ের করার কোনও অধিকার বা ক্ষমতা তার নেই। আবেদনকারী সাইফুল ইসলাম তার রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে মামলাটি দায়ের করেন। তবে ভিডিও ক্লিপে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মন্তব্য

ঋণের বোঝা বাড়ছে রাজশাহীর জেলেদের

Image
রাজশাহীর সাতবাড়িয়া ঘাটে জাল প্রস্তুত করছেন জেলেরা।  ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে রাজশাহী বিভাগের নদ-নদীতে মাছ ধরার ব্যয় বেড়ে গেছে। এই অঞ্চলের জেলেদের দৈনিক আয় কমপক্ষে ৭৫ টাকা কমেছে। অফ-পিক মৌসুমে মাছও তেমন মিলছে না। ফলে ডিজেল কেনার টাকা শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জেলেরা জানান, নদীতে মাছ ধরার নৌকা চালাতে দিনে গড়ে ৫ লিটার ডিজেল লাগে। ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায় ৫ লিটারের জন্য অতিরিক্ত ৭৫ টাকা ব্যয় হচ্ছে তাদের, কমে যাচ্ছে আয়। ফলে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলেদের বেশিরভাগই মহামারির দুর্দশা থেকে এখনও বের হতে পারেননি। এর মধ্যে আয় কমায় ঋণে জর্জরিত জেলেরা। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় প্রায় ১ দশমিক ৪০ লাখ জেলে আছেন। তাদের ৭০ শতাংশই ৩৩টি নদী থেকে মাছ ধরেন, যা বছরে বিভাগে ধরা মোট মাছের ৫ লাখ টন ২০ শতাংশ। এই বিভাগে আরও ১ দশমিক ৪০ লাখ মাছ চাষী আছেন, যারা বছরে ধরা মোট মাছের ৭০ শতাংশ পুকুর থেকে এবং বাকি ১০ শতাংশ বিল ও অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। বিভাগ থেকে প্রতি বছর ৫৫ হাজার টনের বেশি উদ্বৃত্ত মাছ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে পা

যে কারণে হত্যা করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবি মীর আব্দুল কাইয়ূমকে

Image
রাত তখন ৮টা। একাত্তরের শেষ দিকে শীতের রাতে ভয়াবহ নীরবতা ভেদ করে রাজশাহীর ঘোড়ামারা এলাকার এফ-১২৩৭ নম্বর বাড়ির দরজায় হঠাৎ কড়া নড়ে উঠলো। এ ধরনের কড়া নড়ার শব্দ যেন না শুনতে হয় তার জন্যই মীর আব্দুল কাইয়ূম স্ত্রী পরিবারসহ নিজ বাড়ি ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু শব্দটা এড়াতে পারেননি। দরজার পিছনে একজন পরিষ্কার বাংলায় জিজ্ঞাসা করলেন, 'স্যার, আপনি কি বাইরে আসবেন?' তার নরম কণ্ঠে বিনয় থাকলেও সে সময়ে শিরদাঁড়ায় কাঁপন ধরিয়ে দিতে যথেষ্ট ছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক মীর আব্দুল কাইয়ূম ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ছিলেন। তার ৭ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মাসতুরা খানম, যিনি একই বিভাগের শিক্ষক ছিলেন, তাকে ওই ডাকে সাড়া দিতে না করেন। কিন্তু কাইয়ূম ভীতিকর ওই ডাকে সাড়া দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখেননি। তিনি তার পরিচয়পত্রটি হাতে নিয়ে দরজা খুলে দেন। দেখতে পান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের অবাঙালি স্টেনোগ্রাফার তৈয়ব আলী দরজায় দাড়িয়ে আছেন। তৈয়ব পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। 'স্যার, একজন সেনা ক্যাপ্টেন আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি গলির